গৌরনদী প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার বলেছেন জঙ্গীবাদ কোন ধর্মীয় চেতনা নয়। এটা একটি রাজনীতি, তাকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই। তাদের পরিচয়, তারা সন্ত্রাসী। এদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার হতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বার্থী তাঁরা মায়ের মন্দিরে বার্ষিক কালীপূজা উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরনিকা “পুস্পাঞ্জলী”-৪ এর মোরক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। একই সময় তিনি মন্দিরে আগত হাজার হাজার ভক্ত, পূজারী ও দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, ধর্ম আমাদের পরস্পরের মধ্যে বিরোধ তৈরী করা শেখায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ম বিশ্বাসী কিন্তু ধর্মান্ধ নন। তিনি বাংলাদেশকে ধর্মান্ধতার অভিযান রুখতে একটি ভারসাম্য নীতি অনুসরন করে চলেছেন। বাংলাদেশের জন্মদাতা শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মকে রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে রেখেছেন। তিনি কখোনো সহিংসতা ও অবিচারকে সহ্য করেননি। যারা ধর্ম এবং শ্রেনীর মাধ্যমে সমাজকে ভাগ করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। বার্থী তাঁরা মায়ের মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি শান্তনু ঘোষের সভাপতিত্বে গতকাল দুপুর ১২টায় মন্দির অঙ্গনে অনুষ্ঠিত ওই মোরক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নারায়ন চন্দ্র দে নাড়ু, বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাষ্টের ট্রাষ্টী ভানু রঞ্জন দে, বার্থী তাঁরা মায়ের মন্দির পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি অমর কৃষ্ণ রায়, মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক ও ট্রাষ্টী প্রণব রঞ্জন দত্ত (বাবু দত্ত), উপদেষ্টা শিশির কুন্ডু, সহ-সভাপতি মোহন লাল চক্রবর্তী, মন্দিরের পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রদীপ কুমার দত্ত, সাধারন সম্পাদক অপু রায়, স্মরনিকা পুস্পাঞ্জলির সম্পাদক বিশ্বজিত সরকার বিপ্লব প্রমুখ। উল্লেখ্য, “বার্থী তাঁরা মায়ের মন্দির”টি দেশের সবচাইতে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী তাঁরা মন্দিরগুলোর একটি। এটি প্রায় সাড়ে চারশো বছরের পুরনো একটি ঐতিহাসিক জাগ্রত মন্দির। এ মন্দিরের বাৎসরিক কালী পূজা গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে মন্দির অঙ্গনে হাজার হাজার ভক্ত, পূজারী ও দর্শনার্থীদের ঢল নামে। পূজাকে কেন্দ্র করে সেখানে একটি মেলা বসে। মেলায় নানান পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছিল দোকানীরা। মেলায় হিন্দু-মুসলমান, বৈদ্য-খ্রীষ্টানসহ নানা জাতি ধর্মের মানুষের উপচে পাড়া ভির লক্ষ করা গেছে।
Leave a Reply